পড়ার দক্ষতা অর্জনের কৌশল - Proshikkhon

পড়ার দক্ষতা অর্জনের কৌশল

Strategies for acquiring reading skills

পড়ার দক্ষতা অর্জনের কৌশল নিম্নে বর্ণনা করা হলো:

শোনা দক্ষতার মতো পড়ার দক্ষতা অর্জন করতে হলে শিশুকে কোনো কিছু পড়ানোর আগে তার মধ্যে যাতে আগ্রহ সৃষ্টি হয় সেজন্য তাকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। নিচের ধাপগুলো অনুসরণের মাধ্যমে শিশুদের পড়ার দক্ষতা অর্জন করানো সম্ভব।

পড়ার আগে:

  • আনুষ্ঠানিকভাবে পড়া শুরু করার পূর্বে শিক্ষক পাঠ সংশ্লিষ্ট ছবি দেখিয়ে পাঠের বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিশুদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ধরে আলোচনা করতে পারেন। অথবা পাঠের শিরোনাম ধরে পাঠের বিষয়বস্তু কী হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করবেন। এতে পড়ার প্রতি শিশুদের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
  • শিক্ষক পাঠ্যাংশটির পূর্বে প্রস্তুতকৃত সহজপাঠ, মূলভাব বা সারমর্ম তুলে ধরবেন। এটা শিশুকে পড়ার প্রতি কৌতূহলী করে তুলবে।
  • পাঠ্যাংশ থেকে বাছাইকৃত অজানা বা নতুন শব্দের অর্থ, প্রতিশব্দ, যুক্তবর্ণ-সম্বলিত শব্দ, সমোচ্চারিত শব্দ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ ইত্যাদি বিষয় শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে উপস্থাপন করবেন।
  • পঠনে শিশুর আগ্রহ সৃষ্টির করার জন্য পাঠের কোনো মজার ঘটনা বা আনন্দদায়ক অংশের ইঙ্গিত প্রদান করবেন।
  • পাঠ্যাংশের শেষ দিকের অংশ থেকে দু-একটি প্রশ্ন করা যার উত্তর সরাসরি পাঠে রয়েছে।

পড়ার সময়:

  • শিক্ষক প্রমিত উচ্চারণে স্বরভঙ্গি ও স্বরাঘাত বজায় রেখে পাঠ্যাংশটি সরবে পড়বেন।
  • শিশুরা যাতে মনোযোগসহকারে শোনে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • প্রয়োজনে একাধিকবার পড়বেন।
  • শিশুরা শিক্ষককে অনুসরণ করে পাঠ্যাংশের অন্তর্ভুক্ত বাক্যের প্রতিটি শব্দ আঙুল দিয়ে নির্দেশ করে পড়বে। (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্ষেত্রে সমস্বরে এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্ষেত্রে একা একা সরবে পড়বে।)
  • এরপর দল গঠন করে দলনেতা/পারগ শিশুর সহযোগিতায় শিশুকে পড়তে দিবেন। 
  • শিশুরা যাতে খুব আস্তে অথবা জোরে না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
  • পড়ার সময় বানান করে পড়াকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
  • শিক্ষক মাঝে মাঝে পাঠবহির্ভূত সমমানের ছড়া/কবিতা অথবা গল্প পড়ে শোনালে পড়ার প্রতি শিশুর আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

পড়ার পর:

তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য বিষয়বস্তুর মূলভাব গভীরভাবে বুঝতে কয়েক বার নীরব পাঠের ব্যবস্থা করা দরকার। এরপর পাঠের কিছু তথ্য বের করার জন্য প্রশ্ন করা যায় যার উত্তর সরাসরি বইতে আছে। এরপর কয়েকটি উন্মুক্ত প্রশ্ন করা যায় যার উত্তর বইতে সরাসরি নেই। পড়ার পর অনুসরণীয় কতিপয় দিক নিম্নে দেওয়া হলো:

  • কত সালে, কোন কারণে ইত্যাদি
  • গল্পের মূল চরিত্র/ঘটনা নিজের মতো করে লেখা
  • গল্পের মূলভাব/অনূভূতি নিজের মতো করে বলা বা লেখা
  • পঠিত পাঠ্যাংশের সাথে দৈনন্দিন জীবনকে সম্পৃক্ত করে পাঠবহির্ভূত নতুন গল্পাংশ তৈরি করা, ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!